ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সমকামিরাই ছড়াচ্ছে এইডস

দেশে এইডস সংক্রমিতদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বিবাহিত

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০১-১২-২০২৪ ০৪:১০:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-১২-২০২৪ ০৪:১০:২৭ অপরাহ্ন
দেশে এইডস সংক্রমিতদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বিবাহিত প্রতীকী ছবি
দেশে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে পুরুষ যৌনকর্মী (সমকামী)। এরপর রয়েছে হিজড়া ও সাধারণ জনগোষ্ঠী। নতুনভাবে সংক্রমিতদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বিবাহিত। এ সময়ে দেশে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৮ এইডস রোগী। এ সংখ্যা বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে এইচআইভির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ছিল সুঁই-সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরায় মাদকগ্রহণকারী এবং নারী যৌনকর্মীরা। এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বর্তমানে এদের মধ্যে সংক্রমণ কমে এসেছে। তবে পুরুষ সমকামীদের মধ্যে রোগটি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় টেকসই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে।
একই সময়ে এতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ শতাংশ, নারী ২২ শতাংশ, হিজড়া ১ শতাংশ। নতুনভাবে সংক্রমিতদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বিবাহিত। আর মৃতদের একটি বড় অংশের বয়স ৬০ বা তার বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসটিডি বা এইডস শাখার তথ্যমতে, নতুনভাবে আক্রান্ত ও মৃতদের মধ্যে ৬৩ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪৯ বছর এবং ২১ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। নতুনভাবে আক্রান্তের মধ্যে ১০ শতাংশ রোহিঙ্গা, ১ শতাংশ নারী যৌনকর্মী ও ১ শতাংশ হিজড়া। নতুনভাবে সংক্রমিতদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বিবাহিত, ৪০ শতাংশ অবিবাহিত, ৫ শতাংশ বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত। দেশের আট বিভাগে নতুনভাবে সংক্রমিতদের সংখ্যা ঢাকায় ৪০৬ জন, চট্টগ্রামে ৩২৬, খুলনায় ১৫৪, রাজশাহীতে ১৪৭ এবং অন্যান্য বিভাগে ৪৪ থেকে ৮৬ জন।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর টিবিএল ও এইডস বা এসটিডি প্রোগ্রাম ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, আমাদের পরীক্ষা করার সক্ষমতা বেড়েছে। তাই পরীক্ষা বেশি হওয়ায় শনাক্তও বেশি হয়েছে। তাই সংক্রমণ বেড়েছে, সেটা বলা যাবে না। তা ছাড়া আক্রান্তদের চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। তাই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, হিজড়া, সমকামী জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি শনাক্তের প্রবণতা বেশি। কারণ তারাই বেশিরভাগ সময় বৈষম্যের শিকার হন। এই বৈষম্য স্বাস্থ্য সেবায়ও প্রকট। কুসংস্কার, ভয় ও লজ্জার কারণে যেন এই ব্যক্তিরা চিকিৎসা সেবা থেকে হারিয়ে না যান, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। তা না হলে তাদের মাধ্যমে নতুন ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারে।
 
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে 
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ